কক্সবাজারের টেকনাফে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে প্রস্তুতিকালে দালালসহ ২৩ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আটককৃতদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ, ৫ জন নারী ও ১ জন শিশু রয়েছে।
ওসি জানান, মঙ্গলবার রাতের দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকায় মানবপাচারকারী একটি চক্র রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়া পাচারের জন্য জমায়েত করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন দালালসহ ২৩ মালয়েশিয়াগামী রোহিঙ্গাকে আটক করে। দালালরা হলেন লোনা বেগম (৩৫), মো. আব্দুল্লাহ (৩০), এবং মো. রিদুয়ান (২৮)।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের বক্তব্য অনুযায়ী, তারা উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির থেকে ৪ লাখ টাকা চুক্তির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। উম্মে হাবিবা নামে এক রোহিঙ্গা নারী জানান, তিনি ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে দালালের মাধ্যমে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা প্রদান করেছেন। বাকি ৩ লাখ টাকা মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর পর দেওয়ার কথা ছিল। তবে দালালরা তাদের টেকনাফের একটি বাড়িতে দুই দিন আটকে রাখার পর পুলিশ তাদের আটক করে।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গার বাসিন্দা মো. শাজাহানও জানান, তিনি ও তার বন্ধু টেকনাফে ঘুরতে এসেছিলেন। স্থানীয় দালাল মো. ইসমাইলের মাধ্যমে তাদের মালয়েশিয়ায় পাচারের চেষ্টা করা হয় এবং দালাল তাদের কাছ থেকে মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানান, আটক দালালদের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা দায়ের করা হবে। রোহিঙ্গাদের তাদের ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হবে।
গত সোমবারও কক্সবাজারের ইনানী উপকূলীয় এলাকা থেকে নারী-পুরুষসহ ২৪ রোহিঙ্গাকে একইভাবে উদ্ধার করা হয়েছিল।